Summary
সম্পদ ব্যবহারের মূল উদ্দেশ্য হলো সর্বোচ্চ তৃপ্তি লাভ করা এবং লক্ষ্য অর্জন করা, যেখানে অসীম চাহিদা সম্মুখীন হয় সীমিত সম্পদের। সুষ্ঠু সম্পদ ব্যবহারের ফলে পরিবারের আয় বাড়ানো, ব্যয় হ্রাস করা এবং অর্থ সঞ্চয় সম্ভব হয়।
মানবীয় সম্পদ যেমন সময়, শক্তি, দক্ষতা ইত্যাদির সুষ্ঠু ব্যবহার পরিবারের সদস্যদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আয় বৃদ্ধি এবং ব্যয় হ্রাসে সাহায্য করে। উদাহরণস্বরূপ, গৃহের আঙ্গিনায় সবজি উৎপাদন বা হাঁস-মুরগি পালন করা।
সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার বাড়তি সম্পদের সরবরাহ নিশ্চিত করে এবং দায়িত্ব ভাগ করে নিয়ে গৃহিণী সময় ও শক্তি সঞ্চয় করতে পারে, যা পরিবারের উন্নয়ন ও বিনোদনে ব্যয় করা যায়। এটি সদস্যদের দায়িত্ববোধ বাড়ায় এবং সম্পর্ক উন্নতি করে।
মানবীয় ও অমানবীয় সম্পদের সুষম বণ্টন সম্পর্ক উন্নত করে এবং অল্প সম্পদ দিয়ে অধিক তৃপ্তি প্রদানের পাশাপাশি মানসিক প্রশান্তি এনে দেয়।
সম্পদের আয়ু বাড়ানোর জন্য সঠিক যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, যেমন রেফ্রিজারেটর ও অন্যান্য সরঞ্জামাদির যত্ন। সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ আর্থিক অপচয় কমায় ও মানসিক প্রশান্তি দেয়।
কাজ: সমাজ থেকে পাওয়া সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে লেখ।
সম্পদ ব্যবহারের মূল উদ্দেশ্যই হলো এর ব্যবহার দ্বারা সর্বোচ্চ তৃপ্তি লাভ করা এবং লক্ষ্য অর্জন করা । আমাদের চাহিদা অসীম, কিন্তু সম্পদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এই অসীম চাহিদাকে সীমিত সম্পদ দ্বারা পূরণ করতে হলে সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার প্রয়োজন ।
সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার পরিবারের আয় বাড়াতে, ব্যয় হ্রাস করতে ও অর্থ সঞ্চয় করতে সহায়তা করে। পরিবারের সদস্যদের সময়, শক্তি, ক্ষমতা, দক্ষতা ও বুদ্ধি ইত্যাদি মানবীয় সম্পদকে সুষ্ঠুভাবে ব্যবহার করে পরিবারের আয় বাড়ানো যায় এবং ব্যয় হ্রাস করা যায়। যেমন – গৃহের আঙ্গিনায় সবজি উৎপাদন, হাঁস-মুরগি পালন, ঘরে পোশাক তৈরি ইত্যাদি।
সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারের ফলে সম্পদের সরবরাহ বৃদ্ধি পায়। যেমন— গৃহিণী যদি পরিবারের কাজের দায়িত্ব পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভাগ করে দেন তবে গৃহিণী নিজের অনেক সময় ও শক্তি বাঁচাতে পারেন। সে সময় ও শক্তি পরিবারের উন্নয়নমূলক কাজে বা অবসর বিনোদনে ব্যয় করতে পারেন। এতে পরিবারের সদস্যদের দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ জন্মে ।
সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারে মানবীয় ও অমানবীয় সম্পদের সুষম বণ্টন হয়। ফলে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো থাকে। যেমন— বাজেট করে চলা। সময় তালিকা করে চলা। ফলে অল্প সম্পদ দ্বারাই অধিক তৃপ্তি লাভ করা যায় এবং মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায় ৷
সম্পদের আয়ু বাড়াতে সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার প্রয়োজন। গৃহের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি বিশেষ করে রেফ্রিজারেটর, ইস্ত্রি, প্রেসারকুকার, ওভেন, আসবাবপত্র ইত্যাদির সঠিক যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ আর্থিক অপচয় হ্রাস ও মানসিক প্রশান্তি দান করে।
কাজ – সমাজ থেকে আমরা যে সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করি সেগুলো সম্পর্কে লেখ।
Read more